কবির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি : বহমান শীতলক্ষ্যা নদীন কড়াল গ্রাস ও বন্যার পানি থেকে কাপাসিয়া উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের চাপাত, নাজাই, বাড়ৈগাঁও, ঘিঘাট, গোসাইরগাঁও সহ আশ-পাশের গ্রামগুলিকে রক্ষার জন্যে নির্মান করা জনগুরুত্বপূর্ণ রানীগঞ্জ-চাপাত বেড়ি বাঁধের বেহাল দশা।
বর্তমানে বেড়ি বাঁধ দিয়ে জনসাধারনের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।মানুষের কষ্টের যেন সীমা নেই। এ জনদুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই।
সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, রানীগঞ্জ বাজার থেকে চাপাত আকবরিয়া দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত বেড়ি বাঁধে অসংখ্য স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃস্টি হয়েছে।প্রবল বর্ষনে পানির তোড়ে সরে গেছে বাধের উপর ফেলা মাটি। কর্দমাক্ত পানিতে যানবাহন নিয়ে চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেটে চলাচলেরও উপায় নেই।কোন পথিক ভুল করে এ পথে একবার আসলে সে আর দ্বিতীবার এ পথ আর মাড়াবেনা। এ যেন এক বন্ধুর পথ।
কাপাসিয়া উপজেলার বৃহত্তম বানিজ্যিক কেন্দ্র রানীগঞ্জ বাজার। সপ্তাহে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার এখানে বসে হাট।
এছাড়া প্রতিদিনই চলছে কেনা-কাটা। রানীগঞ্জ এলাকা মৌসুমী ফলের জন্য বিখ্যাত।এলাকার কৃষক সাপ্তাহিক হাটবাজারে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল ও শাক-সব্জি রানীগঞ্জ বাজারে কেনা -বেচা করে থাকে।
বাঁধের বেহাল দশার কারনে হাটুরে সহ সাধারন মানুষদের দুর্ভোগের যেন সীমা নেই। চাপাত, নাজাই গ্রামের লোকজনের একমাত্র চলাচলের পথ এটি। তাদের ২কিলোমিটার পথের জন্যে অতিরিক্ত ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে রানীগঞ্জ বাজারে যেতে হয়। কয়েকটি গ্রামের স্কুল, কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের এ পথে প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। একবার স্কুল-কলেজের ড্রেস পড়ে আসা যাওয়া করলে দ্বিতীয় দিন সে ড্রেস পড়ে শ্রেণী কক্ষে যাওয়া মোটেই সম্ভব হয় না। অনেক সময় মানুষ রাস্তার পরিবর্তে সাধারন মানুষের বাড়ি ঘরের উঠান দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। বাঁধের পশ্চিম পার্শ্বের গ্রামের লোকালয়ের পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই পর্যাপ্ত কালভার্ট বা ড্রেনেজ ব্যবস্থা।বর্ষায় জনদুর্গোভ লাগবের নেই তেমন উদ্যোগ।
কাপাসিয়া উপজেলা গণতন্ত্রী পার্টির সাধারন সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী আব্দুল আলীম দুঃখ করে বলেন, আজ মোটর সাইকেলে করে বেড়ি বাঁধের উপর দিয়ে রানীগঞ্জ থেকে চাপাত যাওয়ার পথে যে কষ্ট ও বিড়ম্বনার শিকার হয়েছি তা কোন দিন ভুলার মতো নয়। প্রায় ২ কিলোমিটার পথ মোটরসাইকেল নিয়ে পায়ে হেঁটে আসতে হয়েছে। শরীর জামার অবস্থা দেখে মনে হয় রাস্তার চেয়ে বেহাল দশা। দূর্গাপুর ইউনিয়নের মধ্যে এখনো চাপাত গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা সেকেলের। গ্রামে ঘুরলে মনে হবে এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।