নিজেস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউট সোসিং ঠিকাদার ও লোক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ছাড়া হাসপাতালে ১০২জন লোক নিয়োগে ঘুষ ও টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগে পুন: টেন্ডারের দাবীতে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারের উন্নয়ন বাজেটে পরিচালিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে আউটসোর্সি জনবল ( ক্লিনার ও সিকিউরিটি গার্ড) বেতন স্কেল ১৯ ও ২০ তম গ্রেডে ন্যূনতম সেবা ক্রয়ে প্রতি শ্রমিকের মাসিক বেতন নির্ধারীত ১৫২০০ টাকা ও ১৪৯৫০ টাকা। অতি সম্প্রতি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউট সোসিংয়ে ১০২ লোক নিযোগ দেয়া হয়। গত ৪বছর ধরে মেডিকেল কলেজে আউট সোসিংয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিয়া এন্টারপ্রাইজ জনবল সরবরাহ করে আসছেন। ঠিকাদার আমজাদ হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে বিগত সময় শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে কর্মচারীদের বেতন কম দেয়ার অভিযোগ ছিল। শ্রমিকরা ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন উত্তোলনের নিয়ম থাকলেও ঠিকাদার ও তার প্রতিনিধিরা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে শ্রমিকদের হাতে অর্ধেক টাকা তুলে দেন ঠিকাদার। চাকরী হারানোর ভয়ে অস্থায়ী ওই কর্মচারীরা প্রতাপশালী আমজাদ হোসেন পলাশের অনিয়মের প্রতিবাদ করতে পারছেনা। অসহায় হয়ে পড়েছেন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আউট সোর্সিংয়ের কর্মচারীরা।
মিথ্যা অভিজ্ঞতা সনদ দিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে লোক সরবরাহের কাজ দেওয়ার অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউট সোসিং জনবল সরবরাহ ঠিকাদার নিয়োগে টেন্ডার আহবান করেন কর্তৃপক্ষ। কাজ পেতে ৭টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিডিউল জমা দেয়। জমাকৃত সিডিউল বাছাইয়ে পাঁচটি সিডিউল বাতিল করে টেন্ডার কমিটি। টেন্ডারে অংশ গ্রহনকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এইচ আর কে এর মালিক হামিদুর রহমান খান তুহিন অভিযোগ করে বলেন, মিথ্যা অভিজ্ঞতা সনদে টেন্ডারে অংশ গ্রহনকারী মিয়া এন্টারপ্রাইজকে কাজ পাইয়ে দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনিয়মের আশ্রয় নেয়। হামিদুর রহমান খান তুহিন বলেন, টেন্ডারে অনিয়ম হওয়ায় রিটেন্ডারের দাবীতে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর লিখিত ভাবে আবেদন করি। তিনি (পরিচালক) বিষয়টি পাত্তা না দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। তাতেও কাজ না হলে অনিয়মের তথ্য প্রমাণসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সি পি টি ইউ’র মহাপরিচালক বরাবর আপিল পিটিশন দাখিল করি।
আউট সোসিংয়ের সকল জনবলের বেতন ব্যাংক হিসাব থেকে কর্মচারীরা উত্তোলনের নিয়ম থাকলেও হাতে হাতে কম টাকা পরিশোধের বিষয়ে আমজাদ হোসেন পলাশ এর কাছে জানতে চাইলে এবিষয়ে কোনো কথা বলতে চায়নি।
বড় কাজে অংশ গ্রহনে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকলেও জাল অভিজ্ঞতা দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউট সোসিং জনবল সরবরাহ কাজ পাওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, আমি সঠিক নিয়মে টেন্ডার পেয়েছি।
অনিয়ম করে পছন্দসই ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ বিষয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ মো. হাবিবুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হয়নি বলে দাবী করেন।