কবির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি : এক দিকে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ। অন্যদিকে শনিবার রাত থেকে বৃষ্টি, রাস্তায় ফোর লেনের উন্নতিকরনের কাজ, ছোট-বড় প্রচুর খানাখন্দ, চলছে মেরামত কাজ। যার কারনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের ধীর গতি এবং থেমে থেমে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। মাঝে মাঝে এ যানজট গাজীপুর ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে। ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী গাড়িগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের যাত্রীরা।
রবিবার ভোর রাত থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতি ও যানজটের চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর সাহেব বাজার হয়ে চন্দ্রা, বাড়ইপাড়া এবং চন্দ্রা থেকে সফিপুর, মৌচাক, কোনাবাড়ী ও মাঝে মাঝে গাজীপুরের ভোগড়া এলাকা পর্যন্ত যান চলাচলে রয়েছে ধীর গতি। তবে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা, পল্লীবিদ্যুৎ ও সফিপুর এলাকায় কিছু সময় পর পর যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে খানাখন্দ হওয়ায় যান চলাচলে বিঘœ ঘটছে। ফলে চরম ভোগান্তীতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। পন্যবাহী ট্রাক সড়কে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে।
তবে যানবাহনের চালকরা বলছেন, রাস্তায় খানাখন্দ থাকায় স্বাভাবিক গতিতে চলতে না পারায় গাড়ির সারি দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী হোসেন সরকার জানান, রাতে বৃষ্টির কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কিছু কিছু জায়গায় পানি জমে খানাখন্দ হওয়ায় যানচলাচলে বিঘœ ঘটছে। বৃষ্টির কারণে গাড়ির চালকরা ‘সাইডরোড ইউজ’ না করে ’সিঙ্গেল লাইনে’ চলতে গিয়ে গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চালাতে পারছে না। ফলে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন।
এছাড়া ওই মহাসড়কে ফোর লেনের কাজ চলতে থাকায় এবং রাস্তার মেরামত কাজ চলায় স্থানে স্থানে গাড়ির চাপ বেড়ে গিয়ে গাড়ি চলাচল বিঘিœত হচ্ছে, মাঝে-মধ্যেই যানজট হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, রাতে বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে ভোর থেকে যানজট বাড়তে থাকে। কিন্তু সকালে রোদ ওঠায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজট কমতে শুরু করেছে। যানজট নিয়ন্ত্রনে রাখতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি খুব শিগ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।