শিক্ষা ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আগামী ১ নভেম্বর এ বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে।
এজন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামী বছরের ১ জানুয়ারি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বই বিতরণ করা হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দিন খান ও অব্দুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, সেকায়েপ প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহামুদ-উল-হকসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান এবং মন্ত্রণালয় পরিচালনায় সকলের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের কাজ আরো গতিশীল করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সকল প্রকল্পের কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে নিতে হবে। দ্রুত প্রকল্পের কাজগুলো শেষ করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পদ কম। এ সীমিত সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। এক টাকা দিয়ে দুই টাকার কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অনেক সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করব। এ ঐতিহাসিক সময়ে সবাইকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীন দেশের উপযোগী একটি শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। শিক্ষার গুণগত মান, নৈতিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির জন্য আরো কাজ করতে হবে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংস্কার কাজ করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরে শিক্ষামন্ত্রী পরিবহন পুল ভবনে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় এ বিভাগের সচিব মো. আলমগীরসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।