ডেস্ক নিউজ : সরকারের কথা মতো চালের দাম কমা তো দূরের কথা, হুহু করে বেড়েই চলেছে প্রতিদিন। এতে বাড়তি খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন নিন্মবিত্তরা। খাদ্য অধিদপ্তরের গুদামে যেখানে ন্যূনতম ছয় লাখ টন চাল থাকার কথা, সেখানে আছে অর্ধেকের মতো। সরকার বিভিন্ন চালকলে অভিযান চালিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে দাবি করলেও এই উদ্যোগ কাজে আসছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে, সরকারকে মিল থেকে চাল কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
বাজারে চালের সংকট রয়েছে সে কথা বলার সুযোগ নেই। প্রয়োজন মত বস্তা রাখা আছে সব দোকানেই। এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের বস্তায় দাম বেড়েছে সাড়ে ৪শ’ টাকা। মিনিকেট ও নাজিরশাইলে বৃদ্ধির হার আরো বেশি। তাহলে কি চলছে চালের বাজারে?
মিলার ও পাইকারদের একে অন্যকে দোষারোপের অভ্যাস দীর্ঘদিনের। আড়তদাররা এ অবস্থায় বলছেন, সরবরাহে ঘাটতি আছে। সমস্যা সমাধানে সরকারের উদ্যোগ খুব একটা কাজে আসেনি। মিলে চালের বাড়তি মজুদ থাকলেও তা কিনতে আগ্রহী নয় সরকার। এমন অবস্থায় প্রশাসনে নির্লিপ্ততার অভিযোগ বিশ্লেষকদের।
২০১৩ সালের মজুদ আইনে বলা হয়েছে মিল ও আড়তে চালের মজুদের পরিমাণ জানাতে হবে সরকারকে। কিন্তু গত চার বছরে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যও পায়নি খাদ্য অধিদপ্তর কিংবা মন্ত্রণালয়।