গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে সনাতন ধর্মের এক নারীর (৪০) বাড়ীতে গিয়ে অপকর্ম করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারালো তিন সন্তানের জনক অলিউল্লাহ (৪৫) নামের স্থানীয় এক যুবদল নেতা।
এ ঘটনায় অপকর্ম শিকার হওয়া ওই নারী মৌখিকভাবে থানার ওসিকে অবগত করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলম চাঁদ।
পুরুষাঙ্গ হারানো ওই যুবক উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মনগাঁও গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে। সে ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
ওই নারী জানান, তার স্বামী স্থানীয় ভাবে মাছ ধরার কাজ করেন। স্বামী-স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে বড় অভাব অনটনের সংসার তাদের। তাই সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরাতে তিনি নিজেও স্থানীয় প্রাণ-আরএফএল কারখানায় দুধ-লাচ্ছি প্ল্যান্টে নারী শ্রমিকের কাজ করেন। কাজে আসা-যাওয়ার পথে অর্থের লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব এবং নানাভাবে হুমকি-দামকি দিত। গত প্রায় তিন মাস আগে কাজ শেষ করে রাতে বাড়ী ফিরার পথে তাকে টানা-হেচড়া করে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে। পরে তার ডাকচিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে আসলে সে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান- মেম্বারকেও অবগত করেছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু এ সব বিষয় তিনি অলির পরিবারকে জানালেও তারা আমলে না নিয়ে উল্টো তাকেই দোষারোপ করতো। আর প্রমান চাইতো।
তিনি আরো জানান, গত দুই-তিনদিন যাবৎ বগলে ফোঁড়া নিয়ে ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে বাড়ীতেই অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার রাতে ঘরের এক রুমে তার সন্তান ও অন্য রুমে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। আর স্বামী বাড়ীর পাশ্ববর্তী বেলাই বিলে মাছ ধরতে যায়। ওইদিন দিবাগত রাত দুইটার দিকে অলি তার ঘরের দরজা খুলতে ধাক্কা-ধাক্কি করে। পরে একপর্যায়ে ওই নারী দরজা খুলে তাকে ঘরে নিয়ে কৌশলে ব্লেড দিয়ে অলির পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। এ সময় অলির যন্ত্রনায়-চিৎকারে অলির চাচা ছুটে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. নুরুল ইসলাম জানান, অলিউল্লাহ সারাদিন কোন কাজ কর্ম করতো না। শুধু ঘুরে বেড়াতো আর জুয়া খেলতো। এর আগে আসা-যাওয়ার পথে ওই নারীকে রাস্তায় অশালিন আচরণ করতো। বিষয়গুলো তিনি আমাদেরকে এবং তার পরিবারকে অবগত করেছে। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হয়তো ওই নারী নিজেই এই ব্যবস্থা নিয়েছেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলম চাঁদ জানান, এ ব্যাপারে থানায় এসে ওই নারী মৌখিকভাবে জানিয়ে গেছে। তবে লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে।