কবির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে টাঙ্গাইলের করোটিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯জনের মধ্যে ৩জনের লাশ শুক্রবার সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার খালপাড় নামাশুলাই গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
নিহত মনিরুজ্জামানের মা মমতাজ বেগম (৫৫), স্ত্রী তাহমিনা আক্তার সুমা (৩৪) ছেলে রিজভী আহম্মদের (৯) লাশ বৃহস্পতিবার রাতে কালিয়াকৈরের খালপাড় নামাশোলাই গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসলে এক হৃদয়বিদায়ক ঘটনার সৃষ্টি হয়।
একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত লোক নিহতের বাড়ীতে এসে ভীড় জমায়। এলাকার আকাশ-বাতাস যেন অনেকটা ভারী হয়ে উঠেছে। এলাকায় চলছে শোকের মাতম। শুক্রবার নিহতের বাড়ীতে গেলে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে।
জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ শশুর বাড়ী থেকে বাড়ী ফেরার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের করোটিয়া বাসাইল লিংক রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মনিরুজ্জামান রতন তার মা, স্ত্রী, সন্তানসহ ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সিরাজগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। পরে মনিরুজ্জামান তার পরিবারের লোকজন এবং শশুর বাড়ীর কয়েকজন আত্বীয়সহ গত বৃহস্পতিবার একটি মাইক্রোবাস যোগে কালিয়াকৈরের নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
ফেরার পথে বিকেল ৩টার দিকে ওই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় একটি ট্রাকের মূখোমূখী সংঘর্ষ হলে মাইক্রোবাসটি দূমড়ে মুচড়ে যায়। দুঘর্টনায় মনিরুজ্জামানের মা মমতাজ বেগম, স্ত্রী তাহমিনা আক্তার সুমা ও ছেলে রিজবীসহ মোট নয় জন নিহত হয়।
এছাড়াও এঘটনায় সিরাজগঞ্জের পাঁচজন ও লক্ষিপুরের একজন রয়েছে। তারা সকলেই মনিরুজ্জামান রতনের শ্বশুর-শ্বাশুরী ও শ্যালকসহ সকলেই শ্বশুর বাড়ীর আত্মীয় বলে স্থানীয় জনৈক শামীম হোসেন জানিয়েছেন। এ দূর্ঘটনায় রতন আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের লাশ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নিজ বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।