গাজীপুর প্রতিনিধি : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক বলেছেন, মায়ানমারের নাগরিক যারা ওখান থেকে বিতারিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের ডাটাব্যাজ করা হচ্ছে, আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে। আইডি কার্ড পেলে তারা সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পাবে। তারা যেন ওই এলাকা থেকে অন্যত্র যেতে না পারে, সেটি আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব নিয়েছি। আমারা বিভিন্ন পয়েন্টে, পরিবহনে চেক পোষ্ট বসিয়েছি।
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের গ্রহণ করেছেন। উখিয়াতে প্রায় দুই হাজার একর জমি আছে। সেখানে তাদের সিল করা হবে।
তিনি শনিবার বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক নয়নবাজারে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভিত্তি ফলক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
আইজিপি আরো বলেন, সেখানে ক্যাম্প করা হবে, সেই ক্যাম্পেই তারা আছে। সরকার তাদেরকে বাসস্থান দিয়েছে, খাবার দিচ্ছে, চিকিৎসা দিচ্ছে। এবং সিদ্ধান্ত আছে তারা ওই শিবিরেই, ক্যম্পেই থাকবে। ক্যাম্পের বাইরে তারা কোথাও যেতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা জনগণকে আহবান জানিয়েছি কেউ যেন তাদের নিজ বাড়িতে আশ্রয় এবং ভাড়া না দেয়। এটা আমরা অনুরোধ করেছি। তারপরও যদি তাদের কোথাও পাওয়া যায়, যারা ছড়ায় ছিটিয়ে গেছে। তাদের তথ্য আমাদের কাছে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি তাদের পাওয়া যায় তাদেরকে আমরা পুনরায় উখিয়া শিবিরে নিয়ে আসব।
পরে কাপাসিয়ার শরীফ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এক সুধী সামাবেশে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট রেজাউর রহমান লস্কর মিঠু, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
কাপাসিয়া উপজেলার তিন নদীর মোহনায় টোক নয়নবাজারে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভিত্তি ফলক উদ্বোধন করা হয়েছে। এ জায়গাটি তিনটি জেলার মিলনস্থল। তদন্ত কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা পাওয়ায় গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ জেলার শীতলক্ষ্যা নদীকেন্দ্রিক সীমান্তবর্তী এলাকার জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া-কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) পংকজ দত্ত বলেন, ‘এ তদন্ত কেন্দ্রে একজন পরিদর্শক, চারজন উপ-পরিদর্শকসহ মোট ৪০ জনের জনবল থাকবে। যে কোনও প্রকার অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করার ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রটির। তবে সেগুলো কাপাসিয়া থানায় রুজু হবে এবং তদন্তকাজ সম্পন্ন করবেন তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।