শ্রীপুরে শিশু ধর্ষণ : দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা ধর্ষকের

0
1535
Print Friendly, PDF & Email

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইড় এলাকার (১৩) বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে শিশুর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত ধর্ষক প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সোহাগ মিয়া (১৮)।

শিশুর বড় চাচা আফাজ উদ্দিন জানান, গত শুক্রবার তার ছোট ভাইয়ের বৌভাতের অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে তাদের বাড়িতে রান্না-বান্নার আয়োজনসহ সঙ্গীতানুষ্ঠান চলছিল। শুক্রবার ভোরে রান্নার কাজ সেরে তার ভাতিজি হাত ধুইতে বাড়ির পাশের টিবওয়েলের কাছে যায়। এ সময় ওই যুবক শিশুটিকে মুখ বেঁধে অদূরে নির্জনস্থানে নিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। একর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে তার ভাতিজি চিৎকার শুরু করে। এসময় চিৎকার শুনে বিয়ে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে সোহাগ পালিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেনসহ ক’প্রভাবশালী ভিক্টিমের স্বজনদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে জানায়, বিচার শালিশের প্রয়োজন নেই। এটা তোমাদের মান-সম্মানের বিষয়। পরবর্তীতে তাকে বিয়ের সময় কিছু টাকা আদায় করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করতে নিরুৎসাহিত করেন তারা। পরে সোমবার বিকেলে শিশুর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এছাড়াও শিশুর চাচা জানান, মঙ্গলবার সোহাগ দেশ ছেড়ে পালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক জানান, সোমবার বিকেলে শিশুটির মা বাদি হয়ে সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। শিশুটিকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তবে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে সোহাগ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে ওইদিনও তার পূনরাবৃতি করেছে।
ধর্ষক বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এসআই সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, অভিযুক্ত সোহাগ বিদেশ চলে যাওয়ার কথা শুনেছি। বিষয়টি বিমানবন্দর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। সোহাগের পাসপোর্ট নাম্বার না থাকায় ইমিগ্রেশনে জানানো সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

 

শেয়ার করুন