গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমির হামজা (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
নিহত আমির হামজা বগুড়া সদর উপজেলার নারুলী এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নলজানী এলাকায় সস্ত্রীক ভাড়া বাসায় থাকতেন।
নিহতের বোন সাথী আক্তার জানান, গত শনিবার দুপুরে আমির হামজা বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরে গত রোববার দুপুরে মোবাইল ফোনে জানতে পারেন, আমির হামজার লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পরে মর্গে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন।
তিনি শুনেছেন, ঢাকা-গাজীপুর সড়কের সার্ডি গেট এলাকা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আমির হামজাকে রাত ৩টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আধঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ফেলে রেখে যায়। এ সময় তাকে অজ্ঞাত হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. ইরশাদ উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন এবং ডান পা ও বাম হাত ভাঙা রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ওই চিকিৎসকের ধারণা।
জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান জানান, তারা লাশ হাসপাতালের মর্গে পেয়েছেন। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। তার দুই হাতে ও পায়ে ধালালো অস্ত্রের জখমের চিহ্ন রয়েছে। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।