ডেস্ক নিউজ : বরিশালে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৮৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
এদিকে মিছিল থেকে আটক হওয়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ড সিটি কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মীর জাহিদুল কবীর গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া মিছিল থেকে আটক হওয়া বাকি সাত আসামিকে রোববার বিকেল ৪টার দিকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতের বিচারক অমিত কুমার দে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন মাহবুবুর রহমান পিন্টু, মামুন রেজা খান, অলিউর রহমান, আলমাস সরদার, মো. সোহাগ, জয়নাল আবেদীন ও সোহেল আকন।
এর আগে শনিবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের এসআই সাইদুল বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ এবং বিএনপির অজ্ঞাতনামা ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই সত্যরঞ্জন খাসকেল জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও যানবাহন ভাঙচুর করার অভিযোগ এনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার সংঘর্ষের সময় আটক হওয়া কাউন্সিলর মীর জাহিদুল কবীর জাহিদ হোসেনসহ আটজনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। জাহিদুল কবীর অসুস্থ হওয়ায় তাকে শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ কারণে তাকে আদালতে সোপর্দ করা যায়নি। বাকি সাতজনকে রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
অন্যদিকে হামলার সময় ভিডিও ফুটেজ দেখে অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান সেকেন্ড অফিসার এসআই সত্যরঞ্জন খাসকেল।
উল্লেখ, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে শনিবার নগরীর সদর রোড অশ্বিনী কুমার হল এলাকায় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল ও যানবাহন ভাঙচুর চালায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত এবং আটজনকে পুলিশ আটক করে।