গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে রাইচ মিল থেকে মো. রুবেল হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার দুপুরে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই মো. সোহেল হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (নং ২৪) দায়ের করেন।
নিহত এবং মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানাধীন উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইফুল ইসলাম।
নিহত কিশোর ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার আমকান্দা গ্রামের মো. সাইদুল হোসেনের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী এলাকার একটি হোটেলে বয়ের কাজ করতো এবং ওই এলাকার বাগদী বাজারের একটি রাইচ মিলে তার চাচাত ভাই মো. দেলোয়ার হোসেনের সাথে থাকত।
নিহতের চাচাত ভাই মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের বাগদী বাজারে বাবুল গমেজের রাইচ মিলে কাজ করতেন। দেড় মাস আগে কাজের সন্ধানে রুবেল তার এখানে আসে। পরে তিনি নাগরী বাজারের একটি হোটেলে বয়ের কাজ দিয়ে দেন। সারাদিন ওই হোটেলে কাজ করতো আর রাতে তার সাথে বাগদী বাজারে রাইচ মিলটিতে থাকত। মঙ্গলবার সকালে যথারিতি হোটেলের কাজ চলে যায়। পরে ১১টার দিকে ফিরে আসে এবং কিছু টাকা দাবি করে। কিছু টাকা দিয়ে দিলে সে হোটেলে চলে যায়। বিকেল ৩টার দিকে রাইচ মিলের সাটার নামিয়ে মালিকের বাসায় খেতে যান তিনি। সন্ধ্যায় ফিরে এসে দেখেন ওই রাইচ মিলে গলায় রশি পেচাঁনো রুবেলের মরদেহ ঝুলছে। এ সময় তিনি চিৎকার করে মরদেহটি মাটিতে নামান। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে এ অবস্থা দেখে স্থানীয় উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে রাতে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার দুপুরে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কালীগঞ্জ থানাধীন উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই থানায় একটি ইউডি মামলা করেছেন।