গাজীপুর প্রতিনিধি : জলবায়ু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক গবেষণার জন্য শ্রেষ্ঠ গবেষক হিসেবে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের চেয়ারম্যান ও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন ‘কিংডম অব সৌদি এরাবিয়া’ আন্তর্জাতিক পদক অর্জন করেছেন। সাম্প্রতি মরক্কোর রাজধানী রাবাতে ইসলামিক দেশগুলোর অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত ৭ম সম্মেলনে জলবায়ু ব্যবস্থাপনার বিষয়য়ের উপর তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবসহ ৫৬ টি দেশের পরিবেশ মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি আরবের পরিবেশ, পানি ও কৃষি বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুলরহমান বিন আব্দুল মোহসেন আল ফাদলির সভাপতিত্বে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-মরক্কোর প্রিন্সেস লাল্লা হাসনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইসলামিক এডুকেশন সায়িন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের (আইসেসকো) মহাপরিচালক ড. আব্দুল আজিজ ওথমেন অল্টওয়াইজরি, অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ বিন আহাম্মদ আল উথাইমিন, মাল্টার প্রেসিডেন্ট মিসেস থাবিয়ে লুইস, মালির প্রেসিডেন্ট মিসেস আমিনাতা মাইগা, পদক প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান ড. খলিল বিন মোসলেহ আল থাকাফি উপস্থিত ছিলেন।
ড. রাশেদ জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধের লক্ষ্যে বর্জ্য পদার্থ ব্যবহারের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উন্নত ব্যবহার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। যার ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইডসহ অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পাবে। এর ফলে পরিবেশ বিপর্যয়, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, সর্বোপরি টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ব্যবহার বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য ড. রাশেদ গত বছর জাপানের কুমামোতু বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডভান্স টেকনোলজির উপর পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়া গবেষণায় সাফল্যের জন্য একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট পদকসহ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা পুরষ্কার লাভ করেন। তিনি গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের ভাদগাতী গ্রামের মুহাম্মদ বাছেদ ও মাহ্ফুজা বেগম দম্পতির সন্তান। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি কালীগঞ্জ আর.আর.এন পাইলট সরকারী বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করেন।