গাজীপুর প্রতিনিধি : স্ত্রীর সাথে কলহের জেরে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বড়গাঁও এলাকায় মোশারফ হোসেন (৪৫) নামে এক যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন, দাবী করছেন নিহতের স্বজনরা।
তবে পুলিশের ধারণা মোশারফ হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
রোববার (১০ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার শ্বশুর বাড়িতে সন্তানকে দেখতে গিয়ে এ ঘটনার শিকার হন যুবদল নেতা মোশারফ।
নিহত মোশারফ বড়গাঁও পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি মুক্তারপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুব দলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
নিহতের ছোট ভাই স্কুল শিক্ষক মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, স্বামী মোশারফ হোসেনকে না জানিয়ে স্ত্রী পারভিন আক্তার (৩২) ঘরে থাকা গরু ব্যবসার ১০হাজার টাকা খরচ করে ফেলে। জানতে পেরে পারভিনের সঙ্গে এ নিয়ে মোশারফের ঝগড়া হয়। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য হলে দুইদিন আগে পারভিন সন্তানকে নিয়ে বড়গাঁও রামুইড়া পাড়া এলাকায় তার বাপের বাড়ি চলে যান।
রোববার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ির পাশের এক গরু ব্যবসায়ি বাদল পালোয়ান, মোশারফকে খবর জানান শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তার সন্তান অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। এ খবর পেয়ে মোশারফ হোসেন সন্তানের জন্য স্থানীয় বাজার থেকে ঔষধ কিনে রোববার মাগরিবের নামাজের পর শ্বশুরবাড়িতে যান মোশারফ। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগে স্ত্রীসহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাঠিসোটা দিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে মারা যান তিনি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। মরদেহ গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তার ধারণা শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও তাকে লাঞ্চিত করলে পালাতে গিয়ে হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন মোশারফ। তবে ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য : ২০১২ সালের ২৮ মে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত উপজেলার বড়গাঁও এলাকার বালু ব্যবসায়ী মো. মামুন ভূঁইয়া হত্যা মামলার ৩নং সাক্ষী ছিলেন মোশারফ হোসেন।