কালিয়াকৈরে কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ১৯ জন আক্রান্ত

0
2075
Print Friendly, PDF & Email

আলমগীর হোসেন : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় বেড়ে গেছে কুকুরের উৎপাত। উপজেলার বিভিন্ন অলিগলি রাত-বিরাতে কুকুরের দখলে। উপজেলায় কুকুর নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় দিনদিন বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৩দিনে উপজেলার বাড়ইপাড়া, বড়ইছুটি ও হিজলহাটি গ্রামে কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ১৯ জন লোক আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া কুকুরের কামড়ে দুইটি গরুও আক্রান্ত হয়েছে। কুকুরের কামড়ে আক্রান্তরা কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।

কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত উপজেলার হিজলহাটি গ্রামের মুসলেম মৃধা জানান, এলকায় কুকুরের উপদ্রব আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকালে বাড়ইপাড়া-গোসাত্রা সড়কের হিজলহাটি এলাকায় একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে তিনিসহ ১৫জন পথচারী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

উপজেলার হিজলহাটি জামে মসজিদের ইমাম শাকিল আহমেদ (২৬) জানান, বুধবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষে তিনি মসজিদের বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। এসময় একটি কুকুর তার কপালে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে একটি কুকুরের কামড়ে উপজেলার বড়ইছুটি এলাকার ৩জন লোক মারাতœক জখম হয়। এছাড়া উপজেলার হিজলহাটি গ্রামের কৃষক মোঃ মতি মিয়া ও ইউনুছ আলীর দুইটি হালের গরু কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছে।

অপরদিকে কালিয়াকৈর পৌরসভায়ও বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব অশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন কুকুরের উপদ্রবের শিকার হচ্ছেন্ কেউ না কেউ। পৌরসভার কুকুর নিয়ন্ত্রণের কথা থাকলেও বাস্তবে তার তেমন কোনো প্রয়োগ নেই।

কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রবীর কুমার সরকার জানান, কুকুরের কামড়ে আহত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৯ জন ব্যাক্তিকে এপর্যন্ত হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন