আলমগীর হোসেন : গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে জহিরুল ইসলাম (৪০) নামের এক নিখোঁজ কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে নিহেতর বড় বোন সেলিনা পারভীন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা (নং ৯) দায়ের করেছেন। নিহত এবং মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত।
নিহত কৃষক কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের ভিটি বাগুন (পুরান বাড়ি) গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
নিখোঁজের ৬ দিন পর রোববার সন্ধ্যায় কাপাসিয়ার উপজেলার কামড়া গ্রাম থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর সোমবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে নিখোঁজের পর কালীগঞ্জ অথবা কাপাসিয়া থানায় কোন সাধারণ ডায়েরী করা হয়নি বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত কৃষক গত ৩০ জানুয়ারী সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজনসহ পরিচিত সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান মেলেনি। পরে রোববার সন্ধ্যায় তার বাড়ি সংলগ্ন পার্শ্ববর্তি কাপাসিয়া উপজেলার কামড়া গ্রামের একটি জঙ্গলে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন লাশটি নিখোঁজ জহিরুলের বলে শনাক্ত করেন। তবে কেন এবং কারা তাকে হত্যা করেছে তা বলতে পারনেনি পরিবারের লোকজন।
সূত্র আরো জানায়, জহিরুল গ্রামের সাধারণ কৃষক ও খুবই নিরিহ প্রকৃতির লোক ছিলেন। তার স্ত্রী ৬ মাসের অন্তসত্ত্বা ও ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গলায় গামছা পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। নিহতের লিঙ্গ ও অন্ডকোষ কাটা এবং মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল।
তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে নিহতের বড় বোন সেলিনা পারভীন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলম চাঁদ জানান, নিখোঁজের ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় কোন সাধারণ ডায়েরী করা হয়নি। এজন্য নিখোঁজের ব্যাপারটি তার জানা নেই।