গাজীপুর প্রতিদিন ডেস্ক : পরিবহন সেক্টরে বিশৃংখলার দায় নিয়ে শুধু মন্ত্রী নয় সরকারেরও পদত্যাগের দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা শুধু নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি না। আমরা এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। কারণ সরকার গত কয়েকদিনের ঘটনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, কারও জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে দেশে একের পর এক অঘটন ঘটলেও অনির্বাচিত অবৈধ এ সরকার তা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাই জনগণকে এই সরকারের পতন আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহবান জানাচ্ছি। সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানাই। পরিবহনখাতে ভয়াবহ কান্ড চলছে, পাশবিক অত্যাচার নির্যাতন চলছে। সে কারনেই যার যা খুশি তাই করছে। মনে হচ্ছে সরকার বলে কোন কিছু নেই। এটা একটা পুরোপুরি ব্যর্থ সরকার।
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলন থেকে দৃস্টি সরাতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল প্রধানমন্ত্রী তার চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ডাইভার্ট করার জন্য আবার জিয়াউর রহমানের দিকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। শেখহাসিনা বলেছেন মুজিব হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় জিয়াউর রহমান তার বিচারটা করে যেতে পারলেন না। আর যেহেতু তিনি জীবিত নেই তাই তার বিচারটাও তিনি করতে পারলেন না।
তিনি বলেন, কোথাও আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি এই ঘটনায় জিয়াউর রহমান জড়িত। বঙ্গবন্ধু হত্যার যে বিচার হয়ে গেলো সেই বিচারে সমস্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে কোথাও কোন স্বাক্ষী প্রমানে জিয়াউর রহমানের নাম নেই। সরকারের এই বিষয়টা সামনে আনার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে এই আন্দোলনকে ডাইভার্ট করা।
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য বলেন, মানুষেরও প্রশ্ন থাকতে পারে, আপনি বিদেশ থেকে ফিরে আসার ১৭ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমান কে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই এইসব বিষয় খুঁজতে গেলে আপনাদের কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে যেতে পারে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনা করবে আমাদের সেই সন্তানেরা গতকাল যা করেছে, যেভাবে গাড়ী চালকদের লাইসেন্স দেখেছে তাকে সমর্থন জানাই। আমরা যেটা পারিনি তারা সেটা পেরেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আতাউর রহমান ঢালী সিনিয়র যুগ-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।