বিশেষ প্রতিবেদন : একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে গতমাসে ইসি সচিব । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে শুরু হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। সারা দেশে নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকে এ অভিযান পরিচালনা করবে যৌথ বাহিনী।
সারা দেশে নির্বাচনী পরিবেশ নির্বিঘ্ন করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, পলাতক জঙ্গিদের গ্রেফতার, রাজনৈতিক ক্যাডারদের আধিপত্য দমন ও তালিকা অনুযায়ী নাশকতাকারীদের গ্রেফতার করাই এ অভিযানের লক্ষ্য।
একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী গ্রুপের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ক্যাডারদেরও আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে যৌথ বাহিনী। পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত রোববার বলেন, যেখানে যে মাত্রার অভিযান প্রয়োজন, সেখানে তেমন অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেয়া আছে। নির্বাচনের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে তথ্য বিনিময় করছে।
এতে যেখানে নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে তা প্রতিহত করতে কাজ করছে। সাঁড়াশি অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন যে মাত্রার অভিযান প্রয়োজন তা চলমান আছে, তবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পর অভিযানের ধরন বদলে যেতে পারে। সেটা পরিস্থিতি বলে দেবে।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই ভোট কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতে করণীয় ঠিক নির্ধারণে একটি খসড়া করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মাঠপর্যায়ের পুলিশকে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, একটি ভোট কেন্দ্র থেকে অন্যটির দূরত্ব কত এবং কোন ভোট কেন্দ্রে কতসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য প্রয়োজন তার প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।
যে কোনো বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সাঁড়াশি অভিযান শুরু হবে। অভিযানে দলীয় লোকের পরিচয় মুখ্য নয়, শাসক দল ও এর বিদ্রোহী গ্রুপের কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাদের দমনেও কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের এডিশনাল ডিআইজি (ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গোয়েন্দারা মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। বিশেষ করে জঙ্গি-সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীরা কোনোভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে কিনা, তারা কোনো সুযোগ নিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। তবে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে গোয়েন্দা রাডারে তাদের ধরা পড়তে হবে।দেশের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে।