আলমগীর হোসেন : “সেবাই পুলিশের ধর্ম” এই প্রতিপাদ্য শ্লোগান নিয়ে পুলিশী কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গীবাদ ও বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওপেন হাউজ-ডে।
মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াকৈর থানার আয়োজনে এ ওপেন হাউজ-ডে অনুষ্ঠিত হয়।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ-ডে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কালিয়াকৈর থানা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো.শাহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন শিকদার, কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মো.মুজিবর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.আকবর আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মো. সাহাব উদ্দিন আহসান, পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল ওহাব মিয়া, যুগ্ন-আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম তুষার, কালিয়াকৈর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এম.তুষারী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শামসুন্নাহার পিপিএম সর্বস্তরের মানুষের খোলামেলা আলোচনা ও নানা সমস্যার কথা শুনে তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে বলেন, সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গীবাদ ও বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। এ সময় সাধারন জনগনের পক্ষ থেকে অত্র থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির (এএসআই) মো. রাসেল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে মৌচাক ফাঁড়ির থেকে ওই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে গাজীপুর পুলিশ লাইনে পাঠানোর নির্দেশ দেন কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আলমগীর মজুমদারকে।
এছাড়া আমাদের কোন পুলিশ সদস্যের কারণে যদি কেউ হয়রানী হয়ে থাকেন বা হন অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”।
মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি এসেছে, সেটি হলো কালিয়াকৈরের অধিকাংশ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা পরিচালনাসহ মাদক ব্যবসায়ীদের অভয়ারন্য সৃষ্টি হওয়ার অভিযোগ।
এ অনুষ্ঠানে পুলিশী কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জনগণের সাথে খোলামেলা আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। এতে কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের জন প্রতিনিধিগণ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে খোলামেলা আলোচনায় অংশ নেয়।