আলমগীর হোসেন : গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, আগের তুলনায় পুলিশের মনোবল অনেক বেড়েছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেউ যদি বাধাগ্রস্থ করতে আসে, একটি জানমালেরও ক্ষতি সাধন করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করতে চায়, নির্বাচনে নাশকতা করতে চায় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ হতে দেবো না।
রোববার দুপুরে কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাফিক কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় পুলিশ এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার চালক ও যাত্রীদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, মহাসড়কে যাত্রীবেশে ডাকাতি হচ্ছে। এসব ডাকাতি রোধে টহল পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে এবং কয়েকটি ঘটনায় অভিযুক্ত ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে মহাসড়কে যাত্রীদের হয়রানি লাঘব হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা আকরাম হোসেন, গাজীপুর জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুব উদ্দিন সেলিম, কাপাসিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান।
ট্রাফিক সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে কাপাসিয়া বাস স্ট্যান্ডে আয়োজিত সভায় কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর ও পংকজ দত্ত, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আকবর হোসেন, কাপাসিয়ার কমিশনার (ভূমি) নীলিমা রায়হানাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, উপজেলাধীন বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী অধিকাংশ যানবাহনের রুট পারমিট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া চলছে সিএনজি, লেগুনা, টেম্পু, ব্যটারী চালিত রিক্সা, ভ্যান ও রিক্সা প্রভৃতি। এখানে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় কেউ আইন মানার প্রয়োজন বোধ করে না। ট্রাফিক আইন প্রয়োগের অভাবে এবং আইন না মানার কারণে অবৈধভাবে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। যানজটে নাকাল হয়ে পড়েছিল কাপাসিয়াবাসী। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত যানজটের কবলে পড়ে মানুষ অতিষ্ঠ হলেও এ নিয়ে প্রসাশনের কোন উদ্যোগ না থাকায় দিন যতো যাচ্ছে যানজটের ভয়াবহতা ততোই বাড়ছিল। ভুক্তভোগী যাত্রী ও পথচারীদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল কাপাসিয়ায় ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা। কাপাসিয়াবাসীর এ দাবীর প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রাফিক সেবা কার্যক্রম শুরু করা হলো।