আলমগীর হোসেন : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হাবিবপুর এলাকায় মর্জিনা বেগম ওরফে মজিরন (৭০) নামের এক বৃদ্ধা নিজ বাড়িতে খুন হয়েছেন। তবে ঠিক কি কারণে তাকে খুন করা হয়েছে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছে না নিহতের পরিবারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় ঢাকা থেকে সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ হত্যাকান্ডের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে ।
রবিবার সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার হাবিবপুর এলাকার নিজ ঘরের খাটের উপর ওই বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা থেকে সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ করে এবং বিকেল ৪টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে প্রেরন করে।
নিহত বৃদ্ধা হলেন-গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হাবিবপুর এলাকায় মৃত হযরত আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী মর্জিনা বেগম ওরফে মজিরন (৭০)। নিহতের একছেলে ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন তারা সবাই স্বামীর বাড়িতে থাকেন। আর ছেলে পেশায় এ্যাডভোকেট হওয়ায় ঢাকায় থাকেন মাঝে মাঝে বাড়িতে আসেন।
এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত শনিবার রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে একা ঘুমিয়ে পড়েন মর্জিনা। রোববার সকালে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তিনি ঘর থেকে বাইরে বের হননি। এতে সন্দেহ হলে তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়ারা জাহিদুল নামে এক শিশুকে ওই বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠিয়ে দেয়। পরে ওই শিশু ছেলে ছাদের উপর থেকে নেমে ওই বিল্ডিং এর মূল গেইট খুলে দেয়।
পরে অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি জানার পর ওই ঘরে প্রবেশ করে খাটের উপর ওই বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ এবং পাশে একটি বটি দা পরে রয়েছে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে থানা স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেননি।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, সিআইডি’র একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বিকেলে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেরই ধারণা, ওই এলাকায় মাদকের বিস্তার রয়েছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা লুট করার জন্য হযরত আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী মর্জিনার ঘরে ঢুকে। এ সময় তাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ওসি (অপারেশন) সানোয়ার জাহান জানান, নিহতের গলাকাটা মরদেহের পাশ থেকে একটি রক্তাক্ত বটি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া লাশের পাশ থেকে একটি কেচি, একটি দা ও জমির কাগজপত্র পড়ে ছিল। তবে কি কারণে হত্যাকান্ড ঘটেছে? তা এখনো জানা যায়নি।
বিকেলে সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ হত্যাকান্ডের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরন করেছে।