উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: কালিয়াকৈরে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী রাসেলকে প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদ সভা

0
1423
Print Friendly, PDF & Email

গাজীপুর প্রতিদিন ডেস্ক : আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও গাজীপুর জেলা আ’লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেলকে।

এদিকে আ’লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী রাসেলকে প্রত্যাহার করে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ কবীরকে মনোনয়নের দাবীতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার বিকেলে উপজেলার সফিপুর বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দলীয় কার্যালয়ে ওই সভার আয়োজন করা হয়।

সভা খেকে জানা যায়, আসন্ন কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ কবীর দলীয় মনোনয়ন চান। তবে নানা জল্পনা কল্পনার পর শনিবার বাংলাদেশ আওয়মীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা’র স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেলকে আসন্ন কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করা হয়।

অপরদিকে, কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামীলীগ তৃণমুল আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতাকর্মী দলীয় সভানেত্রীর দেয়া রেজাউল করীম রাসেলের দলীয় মনোনয়ন বাতিল করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ কবীরকে দলীয় মনোনয় দেয়ার দাবী জানান।

প্রতিবাদ সভায় পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব মিয়া লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে ওই দাবী জানান।

ওই লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃনমুলের ভোটের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুরাদ কবিরের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্ত তৃনমূলের মতামত উপেক্ষা করে মুরাদ কবিরের নাম বাদ রেখে কেন্দ্র থেকে রেজাউল করিম রাসেলকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়া হয়। এতে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। রেজাউল করিম রাসেল গত বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচীত হওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের বাদ রেখে বিভিন্ন মিল কারখানা ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে কোটিপতি বনে যান। এছাড়া তিনি প্রতি নির্বাচনেই দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করেছেন।

এছাড়া সরকার বিরোধী শক্তির সাথে আতাত করে বিগত সময়ে দলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তাই তৃনমুল নেতাকর্মীদের মতামত বিবেচনা করে রাসেলকে বাদ রেখে মুরাদ কবিরকে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার অনুরোধ জানান।

অন্যথায় বিতর্কিত দলীয় শৃঙখলা ভঙ্গকারী প্রার্থীর বিজয়তো সম্ববই নয় বরং নৌকা প্রতীকের পরাজয় ঘটলে এর দায়ভার তৃনমূল নেতাকর্মীরা বহন করবেনা। এর পরও আমাদের মতামতকে উপেক্ষা করা হলে তৃনমূল নেতাকর্মীদের পদত্যাগে বাধ্য হওয়া ছাড়া উপায় থাকবেনা।

ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব মিয়া। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুরাদ কবীর, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সিকদার মোশারফ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সিকদার জহিরুল ইসলাম জয়, ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাকিম, জেলা সদস্য সরকার মোশারফ হোসেন জয়, এডভোকেট বেলায়েত হোসেন বাবু, হাবিবুর রহমান সিদকার, জেলা পরিষদ সদস্য ফালাক উদ্দিন মৃধা, এডভোকেট হাবিবউল্লাহ বেলালী, লোকমান হোসেন, আকতারুজ্জামান, সেলিম আজাদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন