গাজীপুর প্রতিদিন ডেস্ক : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের সোনাতলা এলাকায় বেসরকারী একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকার প্রভাবশালীরা ভূক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আল মামুন বোয়ালী ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার সোরহাব হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
এলাবাসি ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভূক্তভোগী ছাত্রীর বাবা মারা যাওয়ার পর তাকে লালন পালনের জন্য উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের ইউনুস আলী মুন্সির বাড়ীতে রেখে তার মা রাজধানীর মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করে আসছেন। কয়েকদিন আগে সোনাতলা বাজারে অবস্থিত গাজীপুর মডেল কেজি স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে রেখে অন্যান্য ছাত্রীদের শ্রেণী কক্ষ থেকে বের করে দেন ওই স্কুলের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরে ৪র্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক শরীরের বিভিন্ন স্পর্সকাতর অংশে হাত দিলে ছাত্রীটি চিৎকার করতে থাকলে। এসময় শিক্ষক আল মামুন ঘটনাটি কাউকে না জানানোর শর্তে ছাত্রীটিকে ছেড়ে দেয়।
পরে ছাত্রীটি বাড়ী ফিরে ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। এদিকে মেয়েটির অসহায়ত্বের সুযোগে এ ঘটনাটি মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল ছাত্রীটির পরিবারকে হুমকি দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ইতিপূর্বেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, ঘটনার পর থেকে ছাত্রীটি স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে এবং বিষয়টি মিমাংসার জন্য দু‘পক্ষকে নিয়ে বসার কথা রয়েছে।