পুনম শাহরীয়ার ঋতু, নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হরিনহাটি এলাকা থেকে রহিম মন্ডল (২৭) নামের এক যুবককে বস্তাবন্দি হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় উদ্ধার করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।
সোমবার সকাল ৬ টার সময় উপজেলার ৭ নং ওয়ার্ডের হরিনহাটি এলাকার হাফিজুর রহমান (হাফন) এর বাসা সংলগ্ন রাস্তা থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
আহত যুবকের নাম রহিম মন্ডল (২৭) পিতা রাজ্জাক মন্ডল সাং শ্রীফলাকাঠি, থানা সাদুল্লাপুর, জেলা গাইবান্ধা। সে দক্ষিন হরিনহাটি এলাকার আসাদুল্লাহ বাবুর বাসায় তার বোনের সাথে একটি টিনসেট ঘড়ে বাড়া থেকে স্থানীয় এলাকায় রিক্সা চালাত।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হরিণহাটি এলাকার একটি রাস্তায় বস্তাবন্দি অবস্থায় এক যুবককে দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে ঘটনা স্থলে পুলিশ এসে বস্তাবন্দি হাতা-পা বাধাঁ গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
ঘটনায় আহত রহিম জানান, গত রবিবার রাত অনুমান পৌনে ১০টার দিকে সে প্রতিদিনের মত রিক্সা চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় পথে মধ্যে মুরগি বিক্রেতা আলী ফকিরের সাথে দেখা হয় তার। সে আলী ফকিরকে বলে আঙ্কেল আপনি ওই খারাপ মেয়ে স্বপনার সাথে অবৈধ মেলামেশা করেন এটা আমি জানি। মেয়েটা ভালনা আপনি কেন তার সাথে মেলামেশা করেন। এর পর আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তার ছেলে মোঃ আরাফাত হোসেন (২৪) সঙ্গীয় আরো কয়েকজন যুবককে সাথে নিয়ে তাকে মারধর করতে থাকে। পরে আলী ফকির এবং কয়েক দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া একাধিক মামলার আসামী মোঃ হানিফ (২৮) তার হাত ও চোখ বেধেঁ ফেলে। এরপর মুহুর্তের মধ্যে তুষার ওরফে ছোটন (২০), রুবেল (২৭), আকাশ, আয়নালসহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজন জন মিলে হাত-পা বেধেঁ সারা রাত কোন এক জায়গায় আটক রেখে রাত ১০ টা থেকে সোমবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত পিটিয়ে এবং দু পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে ক্ষত বিক্ষত করে। তবে হাত-পা ও চোখ বেধেঁ রাখায় তাকে কোথায় আটক রেখে নির্যাতন করা হয়েছে সে এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় বস্তাাবন্দি হাত-পা বাঁধা ওই যুবককে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। পরে তাকে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে আহতের নিকট থেকে ঘটনার কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সে সুস্থ্য হলে ঘটনার পুর্ণতথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ হয়নি। তবে এব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।