ডেস্ক নিউজ, গাজীপুর : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জনতার মুখোমুখি হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রম জি কে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ‘অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে জনগণের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি সিটি করপোরেশনের নাগরিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্য ৬টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের বিভিন্নস্তরের নাগরিকগণ নগরের যানজট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা নিরসন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, গ্যাস, বিদ্যুৎ পানি, সড়কের ফুটপাতে ভ্রাম্যমান দোকন না বসানোসহ নাগরিক দুর্ভোগ ও প্রত্যাশা নিয়ে প্রশ্ন করেন।
উত্তরে সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মহানগরের সড়কগুলোকে যানজট মুক্ত করতে বিকল্প সড়ক করা হবে। স্থানভেদে ৬০ ফুট, ৫০ ফুট ও ৪০ ফুট প্রস্তের রাস্তা তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ রিকশা-অটো রিকশার পরিবর্তে সিটি এলাকায় ‘নগর পরিবহণ নামে প্রায় ৩০০ গাড়ি নামানো হবে। ভবিষ্যতে রাস্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপর করা হবে। এ সময় নগরীকে সবুজায়ন, দূষণ মূক্ত ও জলাবদ্ধতা নিরসন করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
মেয়র আরো বলেন, নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে আটটি খাল খনন কাজ হচ্ছে। উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার পয়োনিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতায়াতের সুবিধার্থে খালের পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
মেয়র জানান, উন্নয়ন কাজে স্বচ্ছতার জন্য আমরা এসব কাজের অনলাইনে টেন্ডার দিচ্ছি। পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে ঠিকাদাররা এ টেন্ডারে অংশ নিতে পারবেন। কাউকে মুখ চিনে কাজের টেন্ডার দেয়া হবে না। শিক্ষার্থীদেরকে যদি কেউ উত্যক্ত করে তবে ওই উত্যক্তকারীসহ তাদের অভিভাবকদের জবাবদিহি করা হবে, তাদের বিচারের আওয়াতায় আনা হবে।
বেকারদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে মেয়র বলেন, গাজীপুর সিটির নাগরিকদের পর্যায়ক্রমে কর্মসংস্থান করা হবে। কারখানার বর্জ্যে যাতে জলাশয় ও নদী দূষণ না হয় এর জন্য কারখানায় ইটিপি স্থাপনে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ করে দেয়া হয়েছে। প্রথমে ৮টি জোন এলাকায় কবরস্থান নির্মাণ করা হবে। পরে সব ওয়ার্ডে কবরস্থানে করা হবে।
মেয়র আরো বলেন, প্রায় দুই ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম। ওই ঋণ এখনো শোধ করতে হচ্ছে। গাজীপুর সিটিতে প্রায় ৩৮ লক্ষ লোকের বসবাস। প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টন বর্জ্য হয়। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব কোন ড্যাম্পিয়ের জায়গা নেই। সিটিতে এক/দেড়শ পরিস্কার পরিচ্ছন্নকর্মী রয়েছে, যা প্রয়োজনের অপ্রতুল। এ ক্ষেত্রে তিনি নাগরিকদেরও সহযোগিতা কমনা করেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রাহাতুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মুজিবুর রহমান কাজল অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন।