ডেস্ক নিউজ : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পৌর সভার হরিণহাটি, চন্দরা, বিশ্বাসপাড়া, রাখালিয়াচালা ও সফিপুর পূর্বপাড়া গ্রামে গত দুইদিনের অতি বর্ষণের পাঁচটি গ্রামের কমপক্ষে সহস্রাধিক ঘরবাড়ীতে এখন হাটু পানি জমে উঠেছে। এলাকায় অপরিকল্পিত শিল্প-কারাখানা ও ঘরবাড়ী নীচু জমি মাটি ভরাট করে করায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ দুভোর্গে পড়েছেন শত শত মানুষ। তবে ওই সব বাড়ী ঘরে বসবাসকারী বেশিভাগ হলো তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। ওই ভাড়াটিয়াদের ঘরেও প্রায় হাটু পানি জমে যাওয়াকে চরম দুর্ভোগে পড়েন শ্রমিকরা। তবে জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত সরে না যাওয়ায় ময়লাযুক্ত পানি ঘরে ঢুকে পড়ায় দুর্গন্ধ সইতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তাদের একাধিকবার আবেদন দিলেও পানি নিস্কাশনের ড্রেনেস ব্যবস্থা সম্প্রাসারণ করা হচ্ছে না। ফলে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদেও নাগরিকরা তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হরিণহাটি এলাকার আলমগীর হোসেন জানান, গত রাতেই তার বাড়ীর প্রতিটি কক্ষে হাটু পানি ঢুকে পড়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেছে তা দিয়ে মোটেও পানি সরছে না। ফলে গত আটচল্লিশ ঘন্টা ধরে পঁচা ময়লা যুক্ত পানির উপর টং করে বসবাস করছি। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত সরানোর অনুরোধ করা হলেও কোন কর্ণপাত করছেন না।
একই এলাকার সামছুল হক, আব্দুল জলিল, শহিদুজ্জামান জানান, এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়ীতে অতিবৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে শত শত শ্রমিক পানি হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
রাখালিয়াচালা গ্রামের ফজলুল হক জানান, এ গ্রামে সামান্য বৃষ্টির পানিতে এ গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নিস্কাশনের দাবী জানাই।
সফিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের শমসের আলী জানান, নিচু এলাকার ড্রেন দিয়ে পানি নামতে না পারায় শত শত বাড়ীতে হাটু পানি জমে উঠেছে। চরম দুভোর্গে পড়েছেন বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়া। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর সমাধানের জন্য জোড় দাবী জানাই।
কালিয়াকৈর পৌর সভার প্যানেল মেয়র ও ৭ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ সামছুল আলম জানান, সকাল থেকেই পানি নিস্কাশনের জন্য শ্রমিক কাজে লাগানো হয়েছে। আবার অতি বর্ষণের কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নীচু এলাকায় নামতে নারায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।