বিশেষ প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জন্মদিনের পচা ও বাসী কেক খেয়ে শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ১২ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ভোক্তভোগি পরিবারের পক্ষ থেকে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার কালিয়াকৈর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় শিলাবৃষ্টি মার্কেটের মা মদিনা ফুড গার্ডেনের কেক খেয়ে এ ঘটনা ঘটে। গত ৭ জুলাই উপজেলার টানকালিয়াকৈর এলাকার আবুল হাসেমের ছোট ছেলে সিয়াম হোসেন রাসেলের ১১তম জন্মদিন ছিল। সে উপলক্ষ্যে ওইদিন বিকেলে কালিয়াকৈর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় শিলাবৃষ্টি মার্কেটের মা মদিনা ফুড গার্ডেন থেকে তিন পাউন্ড ওজনের একটি কেক কিনেন সিয়ামের বাবা আবুল হাসেম। রাতে ছেলের জন্মদিন উৎসবে আনন্দঘন পরিবেশে কেক কেটে খাওয়া শুরু করে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। কেক খাওয়ার ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে শিশু ও নারীসহ ১০ থেকে ১২ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে ৭ থেকে ৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরপর ওই রাতেই গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় মনির হোসেন ও হাসনা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার তাদের দুজনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। পচা ও বাসী কেক খেয়ে অসুস্থ হওয়া বিষয়টি ওই দোকানের মালিক শামীম হোসেন সানুকে জানালে উল্টো তিনি ক্রেতা আবুল হোসেনের সঙ্গে খারাপ আচারণ করেন। এ ঘটনায় আবুল হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ক্রেতা আবুল হাসেম বলেন, পচা ও বাসী কেক সরবরাহকারী মা মদিনা ফুড গার্ডেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। যাতে আর আমার মতো অন্য ক্রেতা বা সাধারণ মানুষ ওই দোকানের পচা ও বাসী কেক খেয়ে অসুস্থ না হয়।
অভিযুক্ত মা মদিনা ফুড গার্ডেনের মালিক শামীম হোসেন সানু জানান, জন্মদিনের এসব কেক উপজেলার বাড়ইপাড়া হিজলহাটি এলাকার মা-বাবার দোয়া কেক তৈরি কারখানা থেকে আনা হয়েছে। তবে ওই কেকটি নষ্ট হতে পারে বলেও জানান তিনি।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।