বিদায় লগ্নে কান্নায় ভেঙে পড়েন বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন

0
1421
Print Friendly, PDF & Email

ডেস্ক নিউজ : বিদায় লগ্নে কান্নায় ভেঙে পড়েন বহুল আলোচিত ও সমালোচিত নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ লাইন্সে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্না করেন তিনি।

বহুল আলোচিত এসপি হারুন অর রশীদকে গত ৩ নভেম্বর প্রত্যাহারের পর আজ বৃহস্পতিবার তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বক্তব্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে সমালোচিত হয়েছেন বলে দাবি করেন এসপি হারুন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে সমালোচিত হয়েছি। তদন্তে এক সময় এটি বের হবে।

পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেমের ছেলে শওকত আজিজের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়ে এসপি হারুন বলেন, আমার কোনো সহকর্মীর দিকে কেউ পিস্তল তাক করবে, সেটা তো হতে পারে না। তাই ওই ব্যক্তি কত বড় সম্পদশালী বা শক্তিশালী সেটা আমি দেখিনি। কিন্তু বলা হয়েছে চাঁদা দাবি করেছি। মূল বিষয় হলো মামলা হয়েছে, পুলিশ রেইড দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার (শওকত আজিজের) ছেলেকে আনা হয়েছিল, মা স্বেচ্ছায় এসেছে। এগুলো আপনারা জানেন। তবুও বিদায়বেলায় আমি বললাম।

এসপি হারুন বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কথায় নয়, মন থেকে যেটা চেয়েছি সেটাই করেছি। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের ইমেজ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জে থাকা অবস্থায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে কাজ করেছি। নারায়ণগঞ্জে দুই হাজার পুলিশ কাজ করছে। কিছু ভুল থাকতেই পারে আমাদের। এরপরও যারা ভুল করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন নিয়েছি আমি। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের পক্ষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, এমপি-মন্ত্রী কেউ তদবির করেনি। এটা আমাদের ভালো লেগেছে।

বক্তব্যের একপর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এসপি হারুন। সেই সঙ্গে মঞ্চে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তার কান্না দেখে আবেগআপ্লুত হন পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, র‌্যাব-১১এর সিইও কর্নেল কাজী শামসের উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নূরে আলম ও সুবাস সাহা প্রমুখ।

শেয়ার করুন