কালিয়াকৈরে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর গান ম্যানের গুলিতে যুবক নিহত

0
913
Print Friendly, PDF & Email

গাজীপুর প্রতিদিন ডেস্ক : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ও গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের বডিগার্ডের গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু ও অপর একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনায় কিশোর কুমার সরকারকে হত্যায় ব্যবহৃত সেই অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার শিমুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

কালিয়াকৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিশোরের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত সেভেন পয়েন্ট ৬২ মডেলের সরকারি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ওই ঘাতককে ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে।
নিহত মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ (৩৫) কালিয়াকৈর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার আজগানা গ্রামের গফুরের ছেলে। আর গুলিবিদ্ধ মাহিন উদ্দিন (৩৪) একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে।

মন্ত্রীর বডিগার্ড সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কিশার কুমার মন্ডল (৩৩) কালিয়াকৈর উপজলার কুতুবদিয়া গ্রামের নারায়ন চন্দ্র মন্ডলের ছেলে। কিশোর পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) নিরাপত্তা বিভাগে চাকরি করে মন্ত্রীর বডিগার্ড হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশের ভাষ্যমতে, মন্ত্রীর বডিগার্ড কিশোর ও হতাহতরা পরস্পর বন্ধু। প্রায়ই তারা এলাকায় আড্ডা দিতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কুতুবদিয়া এলাকার লায়ন হাবিবের একটি পতিত বালির মাঠে বসে আড্ডা দেন তারা।

পুলিশের ধারণা, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কোনও বিষয়ে ঝগড়ার জেরে সঙ্গে থাকা পিস্তল দিয়ে শহিদ ও মাহিনকে গুলি করে কিশোর। এতে বুকের ডান পাশে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শহিদ। আর পেটে ও বুকের একপাশে গুলি লাগে মাহিনের। গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে কিশোর দৌঁড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানার পুলিশ আহত মাহিনকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আর নিহত শহিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে তিন রাউন্ড তাজা গুলি পেয়েছে পুলিশ।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আমীনুল ইসলাম বলেন, গানম্যানদের পোস্টিং বিশেষ শাখা (এসবি) থেকেই হয়। হত্যাকারী মন্ত্রীর বডিগার্ড এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বডিগার্ড সবসময় অস্ত্র সঙ্গে রাখতে পারে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা হত্যাকারীর পেছনে লেগে আছি। কোন অস্ত্র দিয়ে কত রাউন্ড গুলি করা হয়েছে সেটি তো জানি না। কিশোরকে গ্রেফতারের পর বিষয়টি জানা যাবে। হত্যাকাণ্ড ও হত্যাকারী সুস্পষ্ট। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন