সোহেল মিয়াঃ দোয়ারা বাজার ( সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের পূর্বচাইর গাঁও গ্রামের পাঁশ দিয়ে বয়ে চলা চেলা-নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় গত এক সপ্তাহে বহু মানুষের ফসলি জমি, ফলজবৃক্ষ ও বসতভিটাসহ সর্বশ হারিয়ে এখন নিস্ব হয়ে পড়েছেন। এ পর্যন্ত ওই নদীর তীরবর্তী প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়িসহ একটি স্কুল, কাস্টমস অফিস এবং বর্ডার গার্ড বিজিবির টহল পোষ্টও নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
এমনকি গত কয়েক বছরে এই নদী ভাঙ্গনের প্রভাবে শেষ সম্বল ভিটেমাটি হারিয়ে নিস্ব হয়েছেন ওই এলাকার অনেকেই। বর্তমানে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতায় এলাকার অনেক মানুষ তার শেষ সম্বল ভিটেমাটি হারিয়ে কোথাও আশ্রয় না পেয়ে মাথা গোঁজার ঠাই হিসেবে বেছে নিয়েছে নিকটবর্তী একটি সড়কের ধারে।
এনিয়ে এলাকার জনসাধারণ কয়েকবার মানববন্ধনের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধে বেড়িবাঁধ এর ব্যবস্থা করার দাবি জানালে, সুনামগঞ্জ (৫) ছাতক -দোয়ারা বাজার সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক এমপি মহোদয় এর নির্দেশে, সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী গত ৩/৬/২০২০ইং তারিখে নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনে আসলে এলাকার জনসাধারণ কে আশসস্ত করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করনের মাধ্যমে তার সার্বিক সহযোগিতায় ওই এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে বেড়ি বাধ এর ব্যবস্থা করবেন।
তবে আশসস্ত করণের পর বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় দিন দিন নদী ভাঙ্গনের মাত্রাটা ব্যাপক আকার ধারন করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি যদি বজায় থাকে তাহলে আশংকা করা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকশত পরিবার ঘরবাড়ি।
সরেজমিনে গেলে জানাযায়, গত এক সপ্তাহে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া আব্দুল জব্বার, আব্দুল হাই, আব্দুল সাত্তার, কামাল মিয়া, ফুল মিয়া, লিলু মিয়া, কালু মিয়া, শাহজাহান, হানিফ আলী, শাহাবুদ্দিনের পরিবার এখন বসতভিটা হারিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে এখনো পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন কিংবা স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানদের কেউই তাদের সংকট মূহুর্তে পাশে দাড়ায়নি বলে তাদের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষের দাবি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং গরীব দু:খী মানুষের একমাত্র ভরসা শেখ হাসিনা যেন তাদের প্রতি সু-দৃষ্টি রেখে তাদের পাশে দাড়ান। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেন তাদের প্রতি দায়িত্ববান/সহানুভুতি রেখে বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে এ এলাকার নিরীহ ও দু:খি মানুষের দূর্দশা লাগবে একটি বেড়িবাঁধের ব্যবস্থা করেন। এটাই এখন তাদের একমাত্র প্রাণের দাবি।