গাজীপুরে জুতার কারখানায় আগুন, এক নারী শ্রমিক নিহত

0
583
Print Friendly, PDF & Email

আলমগীর হোসেন, ডেস্ক নিউজ– গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বাড়ইপাড়া উলুসারা জুতার কারখানায় আগুন লেগে এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের গুদাম পরিদর্শক মো. কবিরুল আলম জানান, উপজেলার উলুসারা এলাকায় এফবি ফুটওয়্যার নামে একটি জুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত গোলাপী বেগম (৩৩) ওই কারখানার আউট সোল সেকশনের হেল্পার ছিলেন। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বারাবাড়ির হাট সরদারপাড়া এলাকার আইনুল হোসেনের স্ত্রী তিনি। তার বাবার নাম মো. গুলজার হোসেন।

রোববার সকালে কারখানার টয়লেটের ভেতর থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ওই নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেন।

গুদাম পরিদর্শক কবিরুল বলেন, গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কারখানাটিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রোববার বেলা ২টা পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হয়।

কবিরুল আলম আরও বলেন, কারখানাটি একতালা বিশিষ্ট টিনশেড বিল্ডিং। কারখানায় প্লাস্টিক দানা থেকে জুতার সোল তৈরি করা হয়। কারখানার ভেতরে একপাশে রাসয়নিক পদার্থ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই পদার্থ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।

তিনি বলেন, আগুন লাগার সাথে সাথে শ্রমিকরা দৌড়ে বেরিয়ে যায়। গত রোববার সকালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কারখানার ভেতরে ডাম্পিং করতে গিয়ে ওয়াশরুমে গোলাপির লাশ পান।

তবে তার দেহে আগুনে পুড়ে যাওয়ার কোনো আলামত নেই। ধারনা করা হচ্ছে হয়ত বিষাক্ত ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।

নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া আগুনে পুড়ে কারখানার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তাৎক্ষনিক কোন তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকার উপ-পরিচালক দোবাশীস বর্ধন বলেন, কারখানার ভেতরে থার্মোপ্লাস্টিক দানা ও অ্যাডহেসিভ সিল ছিল। সেগুলো পুড়ে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছে। ভয়ে আত্মরক্ষার জন্য হয়ত ওই নারী টয়লেটে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতার কারনে তিনি আর বের হতে পারেননি। পরে গ্যাসের কারণে হয়ত তিনি মারা গেছেন।

এ ঘটনায় আরও কেউ আহত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

আগুনে কারখানার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “অ্যাডহেসিভ, প্লাস্টিক দানা, জুতার ফর্মা, তৈরি সোলসহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়ে গেছে।”

এ ব্যাপারেে এখনো পর্যন্ত কারখানার পক্ষ থেকে সু-নির্দিষ্ট কোন তথ্য কর্তৃপক্ষের থেকে জানা যায়নি।

শেয়ার করুন