গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মাত্র তিন ঘন্টার বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে পৌর এলাকার অধিকাংশ আঞ্চলিক সড়ক এবং দোকানপাটসহ তিন শতাধিক ঘরবাড়ি। পৌর এলাকাগুলির মধ্যে বেশি জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে হরিণহাটি, চান্দরা, বিশ্বাসপাড়া, রাখালিয়াচালা, সফিপুর পূর্বপাড়া, সাত্তার গেইট, খাজার ডেকসহ বেশ কিছু এলাকা। পৌরবাসীর অভিযোগ অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কারণেই তাদের এ ভোগান্তি।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার ভোর রাত এবং সকালে অল্প সময়ের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি অঞ্চল। এসব এলাকার অধিকাংশ ঘরবাড়ি ডুবে গিয়ে রুমের ভিতর হাটু পানি থেকে কোমর পানি। তবে ওই সব বাড়ী ঘরে বসবাসকারী বেশিভাগ হলো তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তারা ঘুম থেকে জাগার আগেই ঘরের ভিতর হাটু পানি। একটু পরেই খেয়ে দেইয়ে কারখানায় যেতে হবে কিন্তু রান্না করার কোন উপায় নেই ঘরের ভিতরে হাটু পানি। অন্যদিকে ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্রসহ সকল আসবাবপত্র তলিয়ে গেছে পানির নিচে। এতে চরম দুর্ভোগসহ শংকিত হয়ে পড়েন শ্রমিকরা।
এমনতাবস্থায় জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত সরে না যাওয়ায় ময়লাযুক্ত দুর্গন্ধ পানি ঘরে ঢুকে পড়ায় দূর্ভাবনায় পড়েছেন বেশির ভাগ সাধারন শ্রমজীবি মানুষসহ কারখানা শ্রমিকরা। এসব এলাকাগুলোতে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, শিল্প-কারাখানা, ঘরবাড়ী নীচু জমি ভরাট করে স্থাপনা নির্মান করায় এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর এ দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও পানি নিস্কাশনের জন্য পরিকল্পিত ভাবে প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্প্রাসারণ করা হচ্ছে না। ফলে পৌরবাসী তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বারবার।
হরিণহাটি এলাকার মুদি দোকানদার আরিফ হোসেন জানান, গত রাতেই তার বাড়ীর প্রতিটি কক্ষে হাটু পানি ঢুকে পড়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেছে তা দিয়ে মোটেও পানি সরছে না। ফলে ভোর রাত থেকে ঘর এবং দোকানের মালামাল সরিয়ে প্রায় ১০ ঘন্টা ধরে পঁচা ময়লা যুক্ত পানির উপর টং করে বসে আছি। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত সরানোর অনুরোধ করা হলেও কোন কর্ণপাত করছেন না তারা।
একই এলাকার সামছুল হক, আব্দুল জলিল, শহিদুজ্জামান জানান, এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়ীতে অতিবৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে হাজার হাজার কারখানা শ্রমিক পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
রাখালিয়াচালা গ্রামের ফজলুল হক জানান, এ গ্রামে সামান্য বৃষ্টির পানিতে শতাধিক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নিস্কাশনের দাবী জানাই।
সফিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের শমসের আলী জানান, নিচু এলাকার ড্রেন দিয়ে পানি নামতে না পারায় শত শত বাড়ীতে হাটু পানি জমে গেছে। চরম দুভোর্গে পড়েছেন বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়া। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর সমাধানের জন্য জোড় দাবী জানাই।
কালিয়াকৈর পৌর সভার প্যানেল মেয়র ও ৭ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ সামছুল আলম জানান, সকাল থেকেই পানি নিস্কাশনের জন্য শ্রমিক কাজে লাগানো হয়েছে। আবার অতি বর্ষণের কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নীচু এলাকায় নামতে না পারায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আমি নিজে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকাগুলো সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে আমাদের লোকজন পানি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্কাশন হয় তার জন্য কাজ শুরু করেছে। আমরা সমস্যাগুলি নির্নয় করে এর দ্রুত প্রদক্ষেপ গ্রহন করব।
স্থানীয়রা জানান, এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও পানি নিস্কাশনের জন্য পরিকল্পিত ভাবে প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্প্রাসারণ করা হচ্ছে না। ফলে পৌরবাসী তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বারবার।
হরিণহাটি এলাকার মুদি দোকানদার আরিফ হোসেন জানান, গত রাতেই তার বাড়ীর প্রতিটি কক্ষে হাটু পানি ঢুকে পড়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেছে তা দিয়ে মোটেও পানি সরছে না। ফলে ভোর রাত থেকে ঘর এবং দোকানের মালামাল সরিয়ে প্রায় ১০ ঘন্টা ধরে পঁচা ময়লা যুক্ত পানির উপর টং করে বসে আছি। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত সরানোর অনুরোধ করা হলেও কোন কর্ণপাত করছেন না তারা।
একই এলাকার সামছুল হক, আব্দুল জলিল, শহিদুজ্জামান জানান, এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়ীতে অতিবৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে হাজার হাজার কারখানা শ্রমিক পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
রাখালিয়াচালা গ্রামের ফজলুল হক জানান, এ গ্রামে সামান্য বৃষ্টির পানিতে শতাধিক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নিস্কাশনের দাবী জানাই।
সফিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের শমসের আলী জানান, নিচু এলাকার ড্রেন দিয়ে পানি নামতে না পারায় শত শত বাড়ীতে হাটু পানি জমে গেছে। চরম দুভোর্গে পড়েছেন বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়া। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর সমাধানের জন্য জোড় দাবী জানাই।
কালিয়াকৈর পৌর সভার প্যানেল মেয়র ও ৭ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ সামছুল আলম জানান, সকাল থেকেই পানি নিস্কাশনের জন্য শ্রমিক কাজে লাগানো হয়েছে। আবার অতি বর্ষণের কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নীচু এলাকায় নামতে না পারায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আমি নিজে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকাগুলো সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে আমাদের লোকজন পানি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্কাশন হয় তার জন্য কাজ শুরু করেছে। আমরা সমস্যাগুলি নির্নয় করে এর দ্রুত প্রদক্ষেপ গ্রহন করব।