ডেস্ক নিউজ : গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার তফসিল গত ১০ বছর পর ঘোষনা করা হয়েছে গত ১৪অক্টোবর বৃহস্পতিবার। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে আওয়ামী লীগের ছয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও বিএনপির এক স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ একাধিক ব্যক্তির নাম শোনা যাচ্ছে। কিন্তু গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এই সিকদার মোশারফ হোসেন। তিনি এবারও পৌর সভার নিবার্চনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রত্যাশী। দল তাকে এবারের নৌকা প্রতীক দিলে বিজয় অর্জন করতে পারবেন বলে অনেকটা প্রত্যাশা করেছেন।
গত ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে এই আওয়ামীলীগ নেতা সিকদার মোশারফ হোসেন বর্তমান মেয়র মজিবুর রহমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। কিন্তু গত নির্বাচনের পর থেকেই তিনি পৌরসভার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় সাধারণ ভোটারদের সাথে সুখ-দুঃখে পাশে থেকে প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন। গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপির সাথে থেকে নিয়মিত দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনাসহ পৌরসভার উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করেছেন। এর পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ এবং দলের জন্য কঠোর পরিশ্রমসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও অংশ নিয়েছেন নিয়মিত। কালিয়াকৈর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির ও গরীব অসহায়দের মধ্যে আর্থিক সহায়তাসহ আরও অনেক সেবামূলক কাজ করে আসছেন তিনি।
এদিকে তফসিল ঘোষনার পর থেকেই কালিয়াকৈরে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। এরই মধ্যে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা শুরু করে দিয়েছেন। আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য মাঠে কাজ করছে একাধিক প্রার্থী।
তবে আওয়ামী লীগের ছয় প্রার্থীর মধ্যে সিকদার মোশারফ হোসেন যোগ্য বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ভোটাররা।
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এর ভোটার সেলিম রানা, শহিদুল ইসলাম, কবীর হোসেন জানান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিকদার মোশারফ হোসেন একজন জনপ্রিয় নেতা। গত নির্বাচনে অল্প সংখ্যক ভোটে হেরে গেলেও তিনি গত ১০ বছরে সাধারন মানুষের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করেছেন। তাই দল থেকে নৌকা প্রতীক তাকেই দেওয়া উচিত বলে মনে করি।
সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিকদার মোশারফ হোসেন জানান, গত নির্বাচনে দল আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে পৌর নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এবারও দল আমাকে নৌকা প্রতীক দিবেন বলে প্রত্যাশা করছি। সেই সাথে আমার বিশ^াস ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও আমাকে মনোনয়ন দিবেন নৌকার মাঝি হিসেবে। তিনি যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত। কারণ ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জনসম্পৃক্ততা, দলীয় নেতাকর্মীদের সমন্বিত প্রয়াসে ভোট বিপ্লব ঘটানো সম্ভব হবে। মেয়র পদটি জনগণের ভোটের মাধ্যমে অধিগ্রহণ করে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা মাফিক সঠিক জনসেবা ও উন্নয়ন দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে প্রার্থী হতে চাই কালিয়াকৈর বাসীকে দিতে চাই আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। নিশ্চিত করতে চাই আগামী প্রজন্মের নিরাপদ ও মানসম্পন্ন ভবিষ্যৎ জীবন। এ শহরকে গড়ে তুলতে চাই প্রকৃত অর্থে উন্নত, আধুনিক ও শান্তি সমৃদ্ধির আবাসস্থল হিসাবে।
তবে, মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়ার পুরো বিষয়টি দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়াছেন তিনি।