ডেস্ক নিউজ : সীমানা নির্ধারণসহ নানা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার নির্বাচন। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর রবিবার (২৮ নভেম্বর) দিনব্যাপী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হল কালিয়াকৈর পৌরসভা নির্বাচন।
কালিয়াকৈর পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান ২য় বারের মত বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০০১ সালে কালিয়াকৈর পৌরসভা গঠনের পর সিলেকশনের মাধ্যমে প্রথম পৌর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত কালিয়াকৈর পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৯৫ হাজার ৪শত ৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ৫০১ জন ও নারী ভোটার ৪৬ হাজার ৯৩৪ জন। ৪১টি ভোট কেন্দ্রের ২৭৬টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলে এ ভোটগ্রহণ। এখানে প্রথমবারের মতো এবারই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন অফিস জানায়, বেসরকারি ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান (মোবাইল প্রতিকে) ২৩ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম রাসেল (নৌকা প্রতিকে) পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৭১ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনুছ আলী মন্ডল (নৌকা) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট। মোট ৬ হাজার ৪৫২ ভোট বেশি পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান ২য় বারের মত বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, কালিয়াকৈরে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলে শান্তিপুর্ন ভোটগ্রহণ। কোথাও কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। দিনব্যাপী ভোটারদের ব্যাপক উৎসাহ আর উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে কালিয়াকৈর পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে পৌরসভার ৪১টি ভোটকেন্দ্রে ২৭৬টি ভোটকক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়। এতে ২৩ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান ২য় বারের মত বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে কালিয়াকৈর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নেও একযোগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলে শান্তিপুর্ন ভোটগ্রহণ।